শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হলেও বর্তমানে তা শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুচ্ছের ভর্তি প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হওয়ায় সেশনজটে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।এছাড়াও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী না পাওয়ায়,আসন শূন্য রেখে ক্লাস শুরু করতে হয়েছে বেশ কয়েকটি গুচ্ছ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েকে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কি ভাবছেন শিক্ষার্থীরা তা জানতে চাইলে ২০২২ সালে সদ্য এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী সুফিয়া জেরিন জয়া বলেন,অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও,এখনো পর্যন্ত নিজস্ব ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি গুচ্ছপদ্ধতি।এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছতে থাকা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
একই বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম উদ্দিন সৌরব বলেন,একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি।কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘয়িতার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে সেশনজটের। ইতোমধ্যে সেশনজটে ভূগছেন বিগত বর্ষের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বার অনুযায়ী আলাদা- আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে হয়। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। ভালো নাম্বারধারী শিক্ষার্থীদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয় এবং তুলনামূলক কম নাম্বারধারী শিক্ষার্থীদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চান্স হয় না।যার জন্য অনেক শিক্ষার্থী প্রাইভেট অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যায় এবং শেষ সময়ে আসন পূরণের জন্য শিক্ষার্থী খুঁজে পায় না গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো,বলছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদ হাসান।
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার্থী মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন,কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি গুচ্ছ কতৃপক্ষ।ইতোমধ্যে জবি সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।ঐ সকল বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর জন্য নতুনভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে যা অত্যন্ত ভোগান্তির সৃষ্টি করবে আমাদের জন্য।
বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগ্রহ কমছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের।অন্যান্য বিশ্ববিদ্যলয়গুলোতে চান্স না হওয়ায় বাধ্য হয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসতে হচ্ছে অনেকের।
গুচ্ছ পদ্ধতি নিজস্ব সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে সে প্রত্যাশা সকলের।
ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরিভাবে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ভর্তি কমিটি গঠন করেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।